রবিবার, ১ মার্চ, ২০১৫

আল কারি’আহ-101

আল কারি’আহ-101
 
১.) মহাদুর্ঘটনা!
 
২.) কী সেই মহাদুর্ঘটনা?
 
৩.) তুমি কি জানো সেই মহাদুর্ঘটনাটি কি?
 
৪.) সেদিন যখন লোকেরা ছড়িয়ে থাকা পতঙ্গের মতো
 
৫.) এবং পাহাড়গুলো রং বেরঙের ধূনা পশমের মতো হবে।
 
৬.) তারপর যার পাল্লা ভারী হবে
 
৭.) সে মনের মতো সুখী জীবন লাভ করবে
 
৮.) আর যার পাল্লা হালকা হবে
 
৯.) তার আবাস হবে গভীর খাদ।
 
১০.) আর তুমি কি জানো সেটি কি?
 
১১.) (সেটি) জ্বলন্ত আগুন।

নামকরণ

প্রথম শব্দ ( َلۡقَارِعَةُ) --কে এর নাম গণ্য করা হয়েছে। এটা কেবল নামই নয় বরং এর বক্তব্য বিষয়ের শিরোনামও। কারণ এর মধ্যে শুধু কিয়ামতের কথাই বলা হয়েছে।

নাযিলের সময়-কাল

এর মক্কী হবার ব্যাপারে সবাই একমত। বরং এর বক্তব্য বিষয় থেকে প্রকাশ হয়, এটিও মক্কা মু’আযযমার প্রথম যুগে নাযিল হয়।

বিষয়বস্তু ও মূল বক্তব্য

এর বিষয়বস্তু হচ্ছে কিয়ামত ও আখেরাত। সর্বপ্রথম লোকদেরকে একটি মহাদুর্ঘটনা! বলে আতংকিত করে দেয়া হয়েছে, কি সেই মহাদুর্ঘটনা? তুমি কী জানো সেই মহাদুর্ঘটনাটি কী? এভাবে শ্রোতাদেরকে একটি ভয়াবহ ঘটনা অনুষ্ঠিত হবার খবর শোনার জন্য প্রস্তুত করার পর দু’টি বাক্যে তাদের সামনে কিয়ামতের নকশা এঁকে দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, সেদিন লোকেরা আতংকগ্রস্ত হয়ে এমনভাবে চারদিকে দৌড়াদৌড়ি করতে থাকবে যেমন প্রদীপের আলোর চারদিকে পতঙ্গরা নির্লিপ্তভাবে ছুটাছুটি করতে থাকে। পাহাড়গুলো সমূলে উৎপাটিত হয়ে স্থানচ্যূত হবে। তাদের বাঁধন থাকবে না। তারা তখন হয়ে যাবে ধূনা পশমের মতো। তারপর বলা হয়েছে, আখেরাতে লোকদের কাজের হিসেব-নিকেশ করার জন্য যখন আল্লাহর আদালত কায়েম হবে তখন কার সৎ কাজ তার অসৎকাজের চাইতে ওজনে ভারী এবং কার সৎকাজ তার অসৎকাজের চাইতে ওজনে হালকা, এরই ভিত্তিতে সেখানে ফায়সালা অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধরনের লোকেরা আরামের ও সুখের জীবন লাভ করে আনন্দিত হবে। আর দ্বিতীয় ধরনের লোকদেরকে এমন গভীর গর্তের মধ্যে ফেলে দেয়া হবে যেগুলো থাকবে শুধু আগুনে ভরা।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন