আন নসর(110)
|
১.)
যখন আল্লাহর সাহায্য এসে যায় এবং বিজয় লাভ হয়,১
|
|
২.)
আর (হে নবী!) তুমি (যদি) দেখ যে লোকেরা দলে দলে আল্লাহর দ্বীন গ্রহণ করছে২
|
|
নামকরণ
প্রথম আয়াত (আরবী-------------------) ---এর মধ্যে উল্লেখিত নসর (আরবী------) শব্দকে এর নাম হিসেবে গণ্য করা হয়েছে।
নাযিলের সময়-কাল
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) একে কুরআন মজীদের শেষ সূরা হিসেবে উল্লেখ
করেছেন। অর্থাৎ এরপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওপর আর কোন
পূর্ণাঙ্গ সূরা নাযিল হয়নি।* (মুসলিম, নাসায়ী, তাবারানী, ইবনে আবী শাইবা ও
ইবনে মারদুইয়া)।
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) বর্ণনা করেছেন, এ সূরাটি বিদায় হজ্জের সময়
আইয়ামে তাশরীকের মাঝামাঝি সময় মিনায় নাযিল হয়। এ সূরাটি নাযিল হবার পর
রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর উটের পিঠে সওয়ার হয়ে
বিখ্যাত ভাষণটি দেন। (তিরমিযী, বায়যাবী, বাইহাকী, ইবনে শাইবা, আবদ ইবনে
হুমাইদ, আবু ইয়ালা ও ইবনে মারদুইয়া)। বাইহাকী কিতাবুল হজ্জ অধ্যায়ে হযরত
সারাআ বিনতে নাবহানের রেওয়ায়াতের মাধ্যমে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লামের এ সময়ের প্রদত্ত ভাষণ উদ্ধৃত করেছেন। তিনি বলেনঃ
“বিদায় হজ্জের সময় আমি রসূলুল্লাহ (সা.)- কে একথা বলতে শুনেছিঃ হে লোকেরা!
তোমরা জানো আজ কোন দিন? লোকেরা জবাব দিল, আল্লাহ ও তাঁর রসূল ভালো জানেন।
তিনি বললেন, এটি হচ্ছে আইয়ামে তাশরীকের মাঝখানের দিন। তারপর তিনি আবার
জিজ্ঞেস করলেন, জানো এটা কোন জায়গা? লোকেরা জবাব দিল, আল্লাহ ও তাঁর রসূল
ভালো জানেন। তিনি বললেন, এটি হচ্ছে মাশ’আরে হারাম। এরপর তিনি বলেন, আমি
জানি না, সম্ভবত এরপর আমি আর তোমাদের সাথে মিলতে পারবো না। সাবধান হয়ে যাও,
তোমাদের রক্ত ও তোমাদের মান-সম্মান পরস্পরের ওপর ঠিক তেমনি হারাম যেমন
আজকের দিনটি ও এ জায়গাটি হারাম, যতদিন না তোমরা তোমাদের রবের সামনে হাযির
হয়ে যাও এবং তিনি তোমাদেরকে নিজেদের আমল সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। শোনো,
একথাগুলো তোমাদের নিকটবর্তীরা দূরবর্তীদের কাছে পৌঁছিয়ে দেবে। শোনো আমি কি
তোমাদের কাছে পৌঁছিয়ে দিয়েছি? এরপর আমরা মদীনায় ফিরে এলাম এবং তারপর
কিছুদিন যেতে না যেতেই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ইন্তিকাল হয়ে
গেল।”
এ দু’টি রেওয়ায়াত একত্র করলে দেখা যাবে, সূরা আন নসরের নাযিল হওয়া ও
রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ইন্তিকালের মধ্যে ৩ মাস ও
কয়েকদিনের ব্যবধানে ছিল। কেননা ইতিহাসের দৃষ্টিতে দেখা যায়, বিদায় হজ্জ ও
রসূলের (সা.) ওফাতের মাঝখানে এ ক’টি দিনই অতিবাহিত হয়েছিল।
ইবনে আব্বাসের (রা.) বর্ণনা মতে এ সূরাটি নাযিল হবার পর রসূলুল্লাহ (সা.)
বলেনঃ আমাকে আমার মৃত্যুর খবর দেয়া হয়েছে এবং আমর সময় পূর্ণ হয়ে গেছে।
(মুসনাদে আহমাদ, ইবনে জারীর, ইবনুল মুনযির ও ইবনে মারদুইয়া) হযরত আবদুল্লাহ
ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণিত অন্যান্য রেওয়ায়াতগুলোতে বলা হয়েছেঃ এ সূরাটি
নাযিল হবার পর রসূলুল্লাহ (সা.) বুঝতে পেরেছিলেন যে, তাঁর দুনিয়া থেকে
বিদায় নেবার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। (মুসনাদে আহমাদ, ইবনে জারীর, তাবারানী,
নাসায়ী, ইবনে আবী হাতেম ও ইবনে মারদুইয়া)।
উম্মুল মু’মিনীন হযরত উম্মে হাবীবা (রা.) বলেন, এ সূরাটি নাযিল হলে
রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ এ বছর আমার ইন্তিকাল
হবে। একথা শুনে হযরত ফাতিমা (রা.) কেঁদে ফেললেন। এ অবস্থা দেখে তিনি বললেন,
আমার বংশধরদের মধ্যে তুমিই সবার আগে আমার সাথে মিলিত হবে। একথা শুনে হযরত
ফাতিমা (রা.) হেসে ফেললেন। (ইবনে আবি হাতেম ও ইবনে মারদুইয়া) প্রায় এই একই
বিষয়বস্তু সম্বলিত হাদীস বাইহাকীতে ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে উদ্ধৃত করেছেন।
ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, হযরত উমর (রা.) বদরের যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী বড় বড়
জ্ঞানী ও সম্মানিত সাহাবীদের সাথে তাঁর মজলিসে আমাকে ডাকতেন। একথা বয়স্ক
সাহাবীদের অনেকের খারাপ লাগলো। তাঁরা বললেন, আমাদের ছেলেরাও তো এ ছেলেটির
মতো, তাহলে শুধুমাত্র এ ছেলেটিকেই আমাদের সাথে মজলিসে শরীক করা হয়েছে কেন?
(ইমাম বুখারী ও ইবনে জারীর খোলাসা করে বলেছেন যে, একথা বলেছিলেন হযরত আবদুর
রহমান ইবন আউফ) হযরত উমর (রা.) বললেন, ইলমের ক্ষেত্রে এর যা মর্যাদা তা
আপনারা জানেন। তারপর একদিন তিনি বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী বয়স্ক সাহাবীদের
ডাকলেন। তাঁদের সাথে আমাকেও ডাকলেন। আমি বুঝে ফেললাম তাদের মজলিসে আমাকে
শরীক করার যৌক্তিকতা প্রমাণ করার জন্য আজ আমাকে ডাকা হয়েছে। আলোচনার এক
পর্যায়ে হযরত উমর (রা.) বদরের যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সাহাবীদের জিজ্ঞেস করলেন
(আরবী-----------------------------) সূরাটির ব্যাপারে আপনাদের অভিমত কি?
কেউ কেউ বললেন, এ সূরায় আমাদের হুকুম দেয়া হয়েছে, যখন আল্লাহর সাহায্যে আসে
এবং আমরা বিজয় লাভ করি তখন আমাদের আল্লাহর হামদ ও ইস্তিগফার করা উচিত। কেউ
কেউ বললেন, এর অর্থ হচ্ছে, শহর ও দুর্গসমূহ জয় করা। অনেকে নীরব রইলেন,
এরপর হযরত উমর (রা.) বললেন, ইবনে আব্বাস তুমিও কি একথাই বলো? আমি বললামঃ
না। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, তা হলে তুমি কি বলো। আমি বললামঃ এর অর্থ হচ্ছে,
রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওফাত। এ সূরায় জানানো হয়েছে,
যখন আল্লাহর সাহায্যে এসে যাবে এবং বিজয় লাভ হবে তখন আপনার সময় শেষ হয়ে
গেছে, এগুলোই আলামত। কাজেই এরপর আপনি আল্লাহর হামদ ও ইস্তিগফার করুন। একথা
শুনে হযরত উমর বললেন, তুমি যা বললে আমিও এছাড়া আর কিছুই জানি না। অন্য একটি
রেওয়ায়াতে এর ওপর আরো একটু বাড়ানো হয়েছে এভাবে যে, হযরত উমর বয়স্ক বদরী
সাহাবীদের বললেনঃ আপনারা এ ছেলেকে এ মজলিসে শরীক করার কারণ দেখার পর আবার
কেমন করে আমাকে তিরস্কার করেন? (বুখারী, মুসনাদে আহমাদ, তিরমিযী, ইবনে
জারীর, ইবনে মারদুইয়া, বাগাবী, বাইহাকী ও ইবনুল মুনযির)।
* বিভিন্ন হাদীস থেকে জানা যায়, এরপর কিছু বিচ্ছিন্ন আয়াত নাযিল হয়। কিন্তু
রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওপর সবশেষে কুরআনে কোন্
আয়াতটি নাযিল হয় সেটি চিহ্নিত করার ব্যাপারে মতভেদ রয়েছে। বুখারী ও মুসলিমে
হযরত বারাআ ইবনে আযেবের (রা.) রেওয়ায়াতে উদ্ধৃত হয়েছে। তাতে বলা হয়েছেঃ
সেটি হচ্ছে সূরা নিসার শেষ আয়াত (আরবী----------) ইমাম বুখারী ইবনে
আব্বাসের (রা.) উক্তি উদ্ধৃত করেছেন। তাতে বলা হয়েছেঃ সর্বশেষ আয়াতটি হচ্ছে
রিবা সম্পর্কিত আয়াত। অর্থাৎ যে আয়াতের মাধ্যমে সুদকে হারাম গণ্য করা
হয়েছে। ইমাম আহমাদ, ইবনে মাজাহ ও ইবনে মারদুইয়া হযরত উমর (রা.) থেকে যে
হাদীসগুলো বর্ণনা করেছেন তা থেকেও ইবনে আব্বাসের এ উক্তির সমর্থন পাওয়া
যায়। কিন্তু এ হাদীসগুলোতে এটিকে শেষ আয়াত বলা হয়নি। বরং হযরত উমরের উক্তি
হচ্ছেঃ এটি সর্বশেষে নাযিল হওয়া আয়াতের অন্তর্ভুক্ত। আবু উবাইদ তাঁর
ফাদায়েলুল কুরআন গ্রন্থে ইমাম যুহরীর এবং ইবনে জারীর তাঁর তাফসীর গ্রন্থে
হযরত সাঈদ ইবনুল মুসাইয়েবের উক্তি উদ্ধৃত করেছেন। তাতে বলা হয়েছেঃ রিবার
আয়াত এবং দাইনের আয়াত (অর্থাৎ সূরা বাকারার ৩৮-৩৯ রুকূ’) কুরআনের নাযিলকৃত
সর্বশেষ আয়াত। নাসায়ী, ইবনে মারদুইয়া ও ইবনে জারীর হযরত ইবনে আব্বাসের অন্য
একটি উক্তি উদ্ধৃত করেছেন তাতে বলা হয়েছেঃ (আরবী-----------------------)
সূরা বাকারার এ ২৮১ নম্বর আয়াতটি হচ্ছে কুরআনের সর্বশেষ আয়াত। আল ফিরইয়াবী
তাঁর তাফসীর গ্রন্থে ইবনে আব্বাসের উক্তি উদ্ধৃত করেছেন। তাতে এতটুকু
বাড়ানো হয়েছেঃ এ আয়াতটি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের
ইন্তিকালের ৮১ দিন আগে নাযিল হয়। অন্যদিকে ইবনে আবী হাতেম এ সম্পর্কিত সাঈদ
ইবনে যুবাইরের উক্তি উদ্ধৃত করেছেন। তাতে এ আয়াতটি নাযিল হওয়া ও রসূলের
(সা.) ওফাতের মধ্যে মাত্র ৯ দিনের ব্যবধানের কথা বলা হয়েছে। ইমাম আহমাদের
মুসনাদ ও হাকেমের মুসতাদরাকে হযরত উবাই ইবনে কা’বের (রা.) রেওয়ায়াত উদ্ধৃত
করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছেঃ সূরা তাওবার ১২৮-১২৯ আয়াত দু’টি সবশেষে নাযিল
হয়।
বিষয়বস্তু ও মূল বক্তব্য
ওপরে যে হাদীসগুলো আলোচনা করা হয়েছে তাতে একথা বলা হয়েছে যে, আল্লাহ তাঁর
রসূলকে বলে দিয়েছিলেন, যখন আরবে ইসলামের বিজয় পূর্ণ হয়ে যাবে এবং লোকেরা
দলে দলে ইসলাম গ্রহণ করতে থাকবে তখন এর মানে হবে, আপনাকে যে কাজের জন্য
দুনিয়ায় পাঠানো হয়েছিল তা পূর্ণ হয়ে গেছে। তারপর তাঁকে হুকুম দেয়া হয়েছে,
আপনি আল্লাহর হামদ ও প্রশংসাবাণী উচ্চারণ করতে থাকুন। কারণ তাঁরই অনুগ্রহে
আপনি এতবড় কাজ সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছেন। আর তাঁর কাছে এ মর্মে দোয়া করুন
যে, এই বিরাট কাজ করতে গিয়ে আপনি যে ভুল-ভ্রান্তি বা দোষ-ত্রুটি করেছেন তা
সব তিনি যেন মাফ করে দেন। এক্ষেত্রে একটুখানি চিন্তা-ভাবনা করলে যে কোন
ব্যক্তিই দুনিয়ার মানুষের একজন সাধারণ নেতা ও একজন নবীর মধ্যে বিরাট
পার্থক্য দেখতে পাবেন। মানুষের একজন সাধারণ নেতা যে বিপ্লব করার জন্য কাজ
করে যায় নিজের জীবদ্দশাতেই যদি সেই মহান বিপ্লব সফলকাম হয়ে যায় তাহলে এজন্য
সে বিজয় উৎসব পালন করে এবং নিজেই নেতৃত্বের গর্ব করে বেড়ায়। কিন্তু এখানে
আল্লাহর নবীকে আমরা দেখি, তিনি তেইশ বছরের সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে পুরো একটি
জাতির আকীদা-বিশ্বাস, চিন্তাধারা, আচার-আচরণ, নৈতিক চরিত্র,
সভ্যতা-সংস্কৃতি, সমাজনীতি, অর্থব্যবস্থা, রাজনীতি ও সামরিক যোগ্যতা
সম্পূর্ণরূপে বদলে দিয়েছেন। মূর্খতা, অজ্ঞতা ও কুসংস্কারের মধ্যে আপাদমস্তক
ডুবে থাকা জাতিকে উদ্ধার করে এমন যোগ্যতা সম্পন্ন করে গড়ে তুলেছেন যার ফলে
তারা সারা দুনিয়া জয় করে ফেলেছে এবং সমগ্র বিশ্বের জাতিসমূহের নেতৃত্ব পদে
আসীন হয়েছে। কিন্তু এতবড় মহৎ কাজ সম্পন্ন করার পরও তাঁকে উৎসব পালন করার
নয় বরং আল্লাহর প্রশংসা ও গুণাবলী বর্ণনা করার এবং তাঁর কাছে মাগফিরাতের
দোয়া করার হুকুম দেয়া হয়। আর তিনি পূর্ণ দ্বীনতার সাথে সেই হুকুম পালন করতে
থাকেন।
হযরত আয়েশা (রা.) বলেনঃ রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর
ওফাতের পূর্বে (আরবী------------) কোন কোন রেওয়ায়াতে এর শব্দগুলো হচ্ছেঃ
(আরবী----------------------------------------------------) খুব বেশী করে
পড়তেন। আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আপনি এই যে কথাগুলো পড়ছেন এগুলো কেমন
ধরনের কালেমা। জবাব দিলেন, আমার জন্য একটি আলামত নির্ধারণ করা হয়েছে, বলা
হয়েছে, যখন আমি সেই আলামত দেখতে পাবো তখনই যেন একথাগুলো পড়ি এবং সেই
আলামতটি হচ্ছে, (আরবী--------------------) (মুসনাদে আহমাদ, মুসলিম, ইবনে
জারীর, ইবনুল মুনযির ও ইবনে মারদুইয়া)। প্রায় এ একই ধরনের কোন কোন
রেওয়ায়াতে হযরত আয়েশা বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
নামায পড়ার সময় নিজের রুকূ’ ও সিজদায় খুব বেশী করে এ শব্দগুলো পড়তেনঃ
(আরবী------------------------------------) এটি ছিল কুরআনের (অর্থাৎ সূরা
আন নসরের ব্যাখ্যা। তিনি নিজেই ব্যাখ্যাটি করেছিলেন) (বুখারী, মুসলিম, আবু
দাউদ, নাসায়ী ইবনে মাজাহ ও ইবনে জারীর)।
হযরত উম্মে সালামা বলেনঃ রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের
জীবনের শেষের দিকে উঠতে বসতে চলতে ফিরতে তাঁর পবিত্র মুখে সর্বক্ষণ একথাই
শুনা যেতোঃ (আরবী--------------------------------------) আমি একদিন
জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রসুল! আপনি এ যিকিরটি বেশী করে করেন কেন? জবাব
দিলেন, আমাকে হুকুম দেয়া হয়েছে, তারপর তিনি এ সূরাটি পড়লেন।
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) রেওয়ায়াত করেন, যখন এ সূরাটি নাযিল হয় তখন
থেকে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিম্নোক্ত যিকিরটি বেশী
করে করতে থাকেনঃ
(আরবী-----------------)
ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, এ সূরাটি নাযিল হবার পর রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম আখেরাতের জন্য শ্রম ও সাধনা করার ব্যাপারে খুব বেশী
জোরেশোরে আত্মনিয়োগ করেন। এর আগে তিনি কখনো এমনভাবে আত্মনিয়োগ করেননি।
(নাসায়ী, তাবারানী, ইবনে আবী হাতেম ও ইবনে মারদুইয়া)।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন